প্রচলিত নাম: আগর
ইংরেজি নাম: Aloe wood, Eagle wood
গোত্র: Thymeliacaee

পরিচিতি
আগর এক প্রকারের সুগন্ধি প্রদায়ক উদ্ভিদ ও ভেষজ গাছ। এটি একটি দীর্ঘ চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা সাধারণত ৬০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে। এর কাঠ সাদা ও নরম। বাকল ধূসর বর্ণের। শাখারে উভয় দিকে যুগ্মভাবে জন্মে পাতা। পাতা ৮-১০ সেমি চওড়া ও অগ্রভাব ক্রমশ সরু। একটি পুষ্পদন্ডে অনেকগুলো সাদা বর্ণের ফুল হয়। ফল হয় হালকা সবুজ ও মখমলের মতো। জুন-জুলাই মাসে ফল পাকে। ফল নরম ও লম্বায় হয় ২-৩ সেমি.।
বিস্তার
বাংলাদশের সিলেট ও চট্টগ্রামের বিক্ষিপ্তভাবে দেখা যায় এটি। ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে আগর পাওয়া যায়।
ভেষজ গুণ
আগর মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, কোষ্ঠ পরিষ্কারক, হাঁপানি, বাত, ত্বকের বিভিন্ন রোগ, ব্রঙ্কাইটিস, চুলকানি ও সংক্রামকরোধক।
ব্যবহার
আগর গাছের নির্যাস থেকের আগর তেল উৎপন্ন হয়। যা সুগন্ধি বা আতর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- বাতের ব্যথায় আগর তেল আক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে বাতের ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
- আগর কাঠ ঘষা আধা চা চামচ সকাল-বিকাল খেলে মেদ থাকে না।
- চুলকা, ঘামাচি ও ত্বকে ছুলি হলে আগর কাঠ শরীরে ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।
- যৌন দুর্বলতায় আগর কাঠের গুঁড়া ৩-৪ চা চামচের ৩-৪ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভুগছে তারা আগর কাঠ ঘষে ১ চামচ পরিমাণমতো নিয়ে ১ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে অল্প অল্প করে নিয়মিত খেলে হাঁপানির উপশম হয়।