প্রচলিত নাম: অঙুর, দ্রাক্ষা
ইংরেজি নাম: Grape, Bush Grape
গোত্র: Vitis acerifolia Raf
পরিচিতি
শীতের ফলের মধ্যে আঙুর অন্যতম। সাধারণ কথায় যাকে আঙুর বলা হয়, আযুর্বেদ শাস্ত্রে তার নাম দ্রাক্ষা। এটি লতানো উদ্ভিদ। এর লতা কিন্তু বেশ শক্ত। এ গাছের পাতার ওপরে রোঁয়া থাকে এবং পাতাগুলো অনেকটা করলা-উচ্ছের পাতার মতো। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এ গাছে গুচ্ছবদ্ধ ফল হয়। এর কাঁচা ফলকে আঙুর আর শুকনা হলে কিশমিশ বলা হয়।

রাসায়নিক উপাদান
আঙুরে রয়েছে রেসভেরাট্রল ও প্রোএন্থোসায়ানিডিল নাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই আঙুর ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। এ ছাড়া অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে আঙুর অদ্বিতীয়।
ভেষজ গুণ
পিপাসাবোধ, নতুন জ্বর, ক্ষীণ দেহ, গর্ভসঞ্চার, পিত্তবিকার ও রক্তবিত্তে এটি উপকারী।
ব্যবহার
- ৫ বা ৬ ইঞ্চি পলতার ডাঁটা এবং ৩ বা ৪টি পলতার পাতা ও ৫-৬ গ্রাম কিশমিশ একত্রে থেঁতো করে এক গ্রাস পানিতে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে তার ছেঁকে দু’ভাগ করে দুবার খেলে পিপাসা কমে যাবে।
- এক গ্লাস পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে কয়েকটা কিশমিশ তাতে ভিজিয়ে ৫-৬টা করে কয়েকবার খেলেই নতুন জ্বর কমে যাবে।
- ১২ গ্রাম কিশমিশ নিয়ে একটি স্টিলের ডেকচিতে দিয়ে তাতে আধা সের পানি এবং এক পোয়া দুধ দিয়ে আঁচে বসিয়ে যখন পানিটা শুকিয়ে দুধটুকু অবশিষ্ট থাকবে, তখন নামিয়ে কিশমিশগুলো দুধের সাথে চটকে বীচি ও সিটে বাদ দিয়ে রোজ সকালে বা বিকেলে একবার করে খেলে দেহ ক্ষীণ হলে উপকার হবে।
- আঙুরের গাছ মূলসহ ২০-২৫ গ্রাম নিয়ে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ওই ক্বাথের কিছু নিয়ে তার সাথে ৮-১০ গ্রাম কিশমিশ বেটে সরবতের মতো স্বামী-স্ত্রী উভয়েই পৃথকভাবে খেলে গর্ভসঞ্চার হয়।
- পিত্তবিকার হলে ১০-১২টা কিশমিশ বেটে একটু পানিতে গুলে খেলে পিত্তবিকার আরোগ্য হয়।
- শালপর্ণী গাছ ২০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সে ক্বাথে ১০-১২টা কিশমিশ বেটে সরবত করে খেলে রক্তপিত্ত অরোগ্য হয়।