অপরাজিতা গাছের উপকারিতা চলুন জেনে নেওয়া যাক। অপরাজিতা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি রয়েছে এর অনেক গুণাগুণ।
অপরাজিতা প্রচলিত নামঃ Butterfly Pea
গোত্রঃ Fabaceae
বৈজ্ঞানিক নামঃ Clitoria ternatea Linn .

অপরাজিতা গাছের পরিচিতি
অপরাজিতা বহু বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত ৫-৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং কোনো কিছুকে অবলম্বন করে বেড়ে ওঠে। পাতা সচঊড়, পক্ষল যৌগিক, একান্তর,প্রতি পাতায় ৫-৭ টি পত্রফলক থাকে। প্রতি পাতার কক্ষে একটি মাত্র ফুল ফোটে, ফুল প্রজাপতিসম, প্রায় ৫সেমি লম্বা, গআঢ় নীল, গন্ধবিহীন।
আরও পড়ুনঃ অন্তমোড়া ভেষজ গুণ
অপরাজিতা গাছের উপকারিতা
অপরাজিতা স্নিগ্ধকারক,কোষ্ঠ পরিষ্কারক,মূত্র বৃদ্ধিকারক,বাতব্যথা ও সিন্ধ ফোলায় উপকারী। এছাড়া পেটে পানি আসা,পাকস্হলীর ব্যথা,শুকনো কাশি, চক্ষুরোগ,শুক্ররোগ ও খোসপাচড়ায় কার্যকারী। ব্যবহার বয়ঃসন্ধীকালীন উন্মাদ রোগ, গলন্ড রোগ, ফুলা রোগ, ঘন ঘন প্রস্রাব,স্বরভঙ্গ,শুষ্ক কাশি, আধকপালে ব্যথা ইত্যাদি রোগে অপরাজিতার মূল, ফুল, পাপড়ি, গাছের লতাপাতা, মূলের ছাল ও বীজ ব্যবহার হয়ে থাকে।
- মূর্ছা বা হিস্টিরিয়া আক্রমণের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনোরকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।
- বয়ঃসন্ধীকালীন উন্মাদ রোগের চিকিৎসায় এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে বেটে দিনে ২ বার আতপ চাল ধোয়া পানি দিয়ে খেলে রোগমুক্তি ঘটে।
- গলগণ্ড রোগে এর মূল ৫-৬ গ্রাম আন্দাজ ঘি দিয়ে শিল্পে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যায়।
- পুরনো ফুলা রোগে নীল অপরাজিতা পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়।
- শিশু অথবা বয়স্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে ১ চা চামচ প্রতিদিন ২ বার একটু দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
- স্বরভঙ্গ হলে ১০গ্রাম থেঁতলে ৪-৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১কাপ পানি থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ১৫ মিনিট গারগল করলে সেরে যায়।
- শুষ্ক কাশি হলে অপরাজিতা মূলের রস ১চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন পানি ১০-১৫ মিনিট মুখে পুরে রেখে গারগল করলে ভালো হয়ে যায়।
- আধকপালে ব্যথার রোগে এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে তার রসের নস্যি নিলে সেরে যায়।