অশ্বগন্ধা একটি চিরসবুজ গুল্ম যা এশিয়া ও আফ্রিকায় জন্মে। অশ্বগন্ধায় রাসায়নিক রয়েছে যা মস্তিষ্ককে শান্ত করতে, ফোলাভাব কমাতে, রক্তচাপ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রচলিত নাম: অশ্বগন্ধা
ইংরেজি নাম: Winter Cherry
গোত্র: Solanaceace
বৈজ্ঞানিক নাম: Withania somnifera (L.) Dunal.

অশ্বগন্ধার পরিচিতি
অশ্বগন্ধা ক্ষুপ জাতীয় গুল্ম। সরচরাচর ১ ফুট থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি পর্যন্ত দীর্ঘ হয় বং দুই থেকে চার ইঞ্জি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং পাতার শেষাংশ সূচালো হয়ে থাকে। শাখা গোলাকার এবং চারদিকে ছড়ানো। ফুল ছোট এবং সচরাচর হলুদ বর্ণের হয়। পাকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।
অশ্বগন্ধার মূল বেশ নরম, ভাঙলে ভেতরটা সাদা এবং গন্ধ ঘোড়ার গায়ের গন্ধের মতো বলে একে অশ্বগন্ধা বলে।
অশ্বগন্ধার ভেষজ গুণ
অশ্বগন্ধা শোষ, কফ ও ক্ষয়রোগনাশক এবং শুক্রবর্ধনের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি তিক্ত কষায় যুক্ত রস, রসায়ন, উষ্ণবীর্ষ ও বলকারক।
অশ্বগন্ধার ব্যবহার
ওষুধে অশ্বগন্ধা গাছের মূল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁচা এবং টাটকা অশ্বগন্ধার মূলই ওষুধে ব্যবহার করা কর্তব্য। কাঁচা বা টাটকা অশ্বগন্ধার মূল একান্ত দুষ্প্রাপ্য হলে পশারি দোকান থেকে শুষ্ক অশ্বগন্ধার মূল সংগ্রহ করে ব্যবহার করলেও সুফল পাওয়া যায়।
- ৬ আনা পরিমাণ অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ করে গরুর ঘি ও মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে শোথ রোগে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
- ৫ আনা পরিমাণ অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ করে উষ্ণ পানির সাথে সেবন করলে কফ রোগ দূর হয়ে যায়।
- অশ্বগন্ধার মূলের ক্ষার, মধু ও গরুর ঘির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে শ্বাস রোগে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
- ৫ আনা পরিমাণ অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ করে তিল তেলের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে বাতপৈত্তিকে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
- অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ করে মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে ক্ষয় রোগে উপকার পাওয়া যায়।
- শিশু ক্রমে রোগা হতে থাকলে ৩ আনা পরিমাণ অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ করে কিছু উষ্ণ পানি, দুধ অথবা ঘি মিশিয়ে এক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়মিত সেবন করালে শিশু হৃষ্টপুষ্ট এবং তার নষ্ট স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হয়।