Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
উচ্চ রক্তচাপে করণীয়: হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ অতি পরিচিত রোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ১০-১৫ ভাগ মধ্যবয়সী বা তার অধিক বয়সী লোক এই রোগে ভুগে থাকে। আমাদের দেশে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মাঝে ৯০-৯২ ভাগ রোগীর বেলায় এই রোগের কারণ এখনো অজানা। বাকি ৮-১০ ভাগের ক্ষেত্রে কারণ পাওয়া গেলে তাও নির্ণয় করা খুবই কঠিন। সাধারণত কিডনিজনিত প্রদানের কারণে হাইপারটেনশন হয়ে থাকে। তাই নেফাইটিস, কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদি রোগীদের এই রোগ সম্বন্ধে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে বাচ্চা ও মা উভয়ের জন্যই অধিকতর ঝুঁকি সৃষ্ট করে। জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল দীর্ঘদিন সেবনের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া কিছু হরমোনজনিত রোগ ও ওষুধ যেমন স্টেরয়েড দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। কারণ যা-ই হোক, হাইপারটেনশনের রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-ওষুধবিহীন চিকিৎসা ও ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা।
এ চিকিৎসা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর অধিক হয়, তখনই ওষুধবিহীন চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
আরও পড়ুন- এডিনয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধিজনিত সমস্যা
ওষুধবিহীন চিকিৎসার পরও সার্বক্ষণিকভাবে যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর বেশি থাকে, বিভিন্ন উপসর্গ ও হৃদরোগ বা অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা শুরু করার অবশ্যক।
বিভিন্ন জাতীয় ওষুধ উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে রক্তচাপের মাত্রা ও অন্যান্য অসুখ বা জটিলতাভেদ ওষুদের ব্যবহার পার্থক্য দেখা যায়।
উচ্চ রক্তচাপ, যা হাইপারটেনশন নামেও পরিচিত, এটি এখন একটি সাধারণ রোগ যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে অসুস্থ করে। এটি ঘটে যখন ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের বল খুব বেশি হয়, যা হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। যদিও উচ্চ রক্তচাপের সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না, তবে এটির উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে এমন লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে সঠিক নির্ণয়ের জন্য একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ওষুধ এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জটিলতার ঝুঁকি কমাতে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
একটা কথা প্রায়ই ওঠে যে, হাইপারটেনশনের চিকিৎসা কত দিন চালাতে হবে। এই রোগের চিকিৎসা আমৃত্যু চালানো উচিত। শুধু মাঝে মাঝে ১-২ মাস পর পর রক্তচাপের মাত্রা দেখা উচিত এবং রক্তচাপের মাত্রার সাথে ওষুধের মাত্রা মিলিয়ে দেখতে হয়। এক ওষুধে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না হলে একের অধিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না তা দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি হার্টের রোগ, মস্তিষ্কের রোগ, কিডনিজনিত রোগ আছে কি না তাও মাঝে মাঝে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন।
উচ্চ রক্তচাপে করণীয় যা হলো অনেকেই ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে এলে ওষুধ বন্ধ করার চিন্ত করে থাকেন এবং কেউ কেউ প্রায়ই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ এতে রোগীদের টার্গেট গ্রন্থিসমূহের জটিলতা দেখা দিয়ে হার্ট এটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি হতে পারে। হঠাৎ করে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
অতএব, এ কথা সহজেই অনুমেয় যে উক্ত রক্তচাপের রোগীর চিকিৎসা নিয়মিত করতে হবে। কখনোই কোনো অনিয়ম করা হলে তা রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। ওষুধ ও ওষুধবিহীন, উভয় প্রকার চিকিৎসাই সব রোগীর ক্ষেত্রের প্রযোজ্য। নিয়মিত চিকিৎসার ফলে রোগী দীর্ঘদিন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। বাচ্চা বয়সেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। বিশেষ করে যদি কারো কিডনিজনিত রোগ যেমন নেফ্রাইটিস, কিছু হরমোন গ্রন্থির রোগ যেমন-ফিওকোমসাইটোম ইত্যাদি থাকে। তাই শিশু রোগীদেরও মাঝে মাঝে রক্তচাপ মেপে দেখা উচিত।